বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুরা। আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করবো বরই পাতা সম্পর্কে। বরই আমাদের সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটা ফল। বরই পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে আমাদের দেশে। তবে এর চাইতেও বড় কথা হচ্ছে বরই পাতা আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
আপনি যদি বরই এবং বরই পাতার উপকারিতা, অপকারিতা বরই পাতার বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে দেখেন। আশা করছি প্রত্যেকটি বিষয় ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
বরই আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুমিষ্ট একটি ফল। বরই খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আমাদের আশেপাশে অনেক বরই গাছ আছে এবং অনেকের বাড়িতেও এই বরই গাছ রয়েছে। কি বুড়ি ফল আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। বরই ফল যেমন আমাদের উপকার করে ঠিক তেমনি বরই পাতা আমাদের অনেক কাজে লাগে এবং এটাও অনেক উপকার করে।
আরো পড়ুনঃ পাকা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত
তাই আজকে আমাদের পোস্টটি হচ্ছে বরই পাতা এবং বরই ফল এর বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা। নিচে বরই পাতা ও বরই ফল এর বিভিন্ন উপকারিতা-অপকারিতা এবং আরো অনেক বৈশিষ্ট্য ও বরই পাতা এর ব্যবহার সম্পর্কে লিখা হলো
বরই পাতার উপকারিতা
বরই পাতাতে রয়েছে অনেক রকমের উপকারিতা। নিচে বরই পাতা এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ জনিত রোগের সমস্যা দূর করে থাকে বরই পাতার রস। যাদের দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এলার্জি চর্মরোগ তারা বড়ই গাছের পাতা ছিরে নিয়ে এসে সেই পাতাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন এরপর পাতাগুলোকে ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে দিবেন এরপর ব্লেন্ড করা রসে এক চামচ পরিমাণ কালোজিরা মিশিয়ে নিবেন এবং প্রতিদিন রাত্রিবেলা ঘুমানোর সময় খেয়ে নেবেন এভাবে একটানা সাত দিন খেলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ এলার্জি চিরতরে গায়েব হয়ে যাবে।
বরই পাতাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেমন সোডিয়াম ইত্যাদি সহ আরো অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। আর যার কারণে বরই পাতা গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। আর তার জন্য প্রতিদিন কিছু বরই পাতা গাছ থেকে নিয়ে এসে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। তারপর কয়েকটা বরই পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বরই পাতা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। তার জন্য পরিমাণমতো বড়ই পাতা নিয়ে তা ভালোভাবে থেঁতো করে নিবেন।
সেই থেঁতো করা বড়ই পাতার সাথে পরিমাণ মতো তুলসীপাতা মিশিয়ে নিবেন এবং কিছুটা আমলা মিশিয়ে নিবেন। তারপর সেগুলোকে একসাথে মিস করে একটা পেস্টের মতো তৈরি করবেন। এরপর সেই মিশ্রণটিকে চুলে লাগিয়ে নিবেন এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন তারপরে মিশ্রণটিকে চুল থেকে ধুয়ে নিবেন। এতে করে চুল পড়ার হার অনেকটা কমে যাবে বরই পাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তার জন্য কিছু বরই পাতা থেঁতো করে তার সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিবেন। এরপর সেই মিশ্রণটিকে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নিবেন এভাবে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে এক ঘণ্টার মতো লাগিয়ে রাখবেন। এক ঘন্টা পর আপনার ত্বককে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এভাবে দশ দিন নিয়ম মেনে বরই পাতার মিশ্রণটিকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা হবে টানটান ফর্সা ও দাগ মুক্ত।
বরই পাতার বৈশিষ্ট্য
আমরা সকলেই বড়ই পাতা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। তবে আমরা কেউ বড়ই পাতা সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানি না। আমরা অনেকেই জানিনা যে বড়ই পাতা কি রকম হয়ে থাকে। বা বরই পাতা আকার ধারণ করে কেমন এ সম্পর্কে আমাদের কারো তেমন একটা ধারণা নেই। আমরা অনেকেই হয়তো বরই এর বৈশিষ্ট্য জানি তবে বড়ই পাতা এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা নেই। আজকে আমরা বরই পাতা এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব।
বরেই পাতা দেখতে কিরকম হয়ে থাকে বা এর ফল কেমন হয় বা বড়ই পাতা কাঁচাতে কেমন হয় এবং বড় পাকলে কেমন হয় সবকিছুই আপনাদেরকে আজ বলে দেব। বরই পাতা আমাদের অনেক কাজে লেগে থাকে। আমরা বরই পাতা দিয়ে বিভিন্ন রকমের উপকরণ তৈরি করতে পারি। বরই পাতা দেখতে গোল গোল হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শীতকালে বড়ইয়ের গাছে অনেক মুকুল আসে। এবং সেগুলো কয়েক মাস পরে বরই এ পরিণত হয়।
বরের পাতা দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি যেমন বিভিন্ন ধরনের মিশ্রণ তৈরি করে থাকি উপকরণ তৈরি করে থাকি যা আমাদের দেহের অনেক জায়গার জন্য কাজে লাগে। আমরা বড়ই পাতা যদি থেঁতো করে তার রসের সাথে আমলা মিশিয়ে একটা দ্রবণ তৈরি করি এবং সেটা যদি চুলে দিই তাহলে চুল পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া বড়ই পাতা আমাদের অনেক কাজে লাগে আমরা বড়ই পাতা দিয়ে মৃত ব্যক্তিদের গোসল দিয়ে থাকি। এরকম আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে বড়ই পাতার। আপনাদের কাছে অল্প কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরলাম নিচে আমরা বরই পাতা বড়ই সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো।
বরই পাতা দিয়ে গোসল
কোন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে তখন সেই মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ানো হচ্ছে ফরজে কেফায়া। যখন কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তখন সেই ব্যক্তিকে সঠিকভাবে গোসল দেওয়ানো হচ্ছে উত্তম। আর কোন মৃত ব্যক্তিকে উত্তম ভাবে গোসল করানোর জন্য প্রয়োজন হয় কুল বা বরই পাতা ভিজানো গরম পানি। যখন কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তাকে বরই পাতা দিয়ে গোসল করার কারণ কি?
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ মারা যায় এবং আমরা তাকে বরই পাতা ভেজানো পানি দিয়ে গোসল দিয়ে দি। কিন্তু অনেকেই জানে না কেন এই বরই পাতা ব্যবহার করা হয়।
মৃত ব্যক্তিকে বরই পাতা দিয়ে গোসল করা হয় এর কারণ হচ্ছে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন মৃত ব্যক্তিকে বরই পাতা দিয়ে গোসল করানোর কথা। বুখারী শরীফের একটি হাদিসে দেখা যায় হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত: আরাফাতের ময়দানে নিজের উঠোনি থেকে পড়ে যায় একজন ব্যক্তি। এ সময় ওই পড়ে যাওয়া ব্যক্তির ঘাড় মটকে যাই। আর তার ঘাড় মটকে যাওয়ার ফলে সেই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। তখন আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেন তোমরা এই মৃত ব্যক্তিকে বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করিয়ে দাও এবং তাকে কাফন দাও দুই কাপড়ে। তোমরা তার মাথা ফাঁকা রাখবে ঢাকবে না এবং তাকে তোমরা কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাবে না।
কারণ সেই মৃত ব্যক্তি তালবিয়া পাঠ করতে উঠবে কেয়ামতের দিন।এছাড়াও বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে দেখা যায় যে বড়ই পাতার ভিতরে থাকে অত্যন্ত পরিমাণে কিছু এন্টিসেপটিক। এই বরই পাতা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সেই বড়ই পাতা থেকে আঠালো একপ্রকার নির্যাস বের হয় আর সেগুলো পানির সাথে ভালোভাবে মিশে যায়। আর সেই বড়ই পাতার নির্যাস এর ফলে মানুষের দেহের জীবাণুগুলো ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়াও মানুষের দেহটা খুব সহজে পোকামাকড়ে আক্রমণ করতে পারে না। এমনকি সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই বড়ই পাতার নির্যাস এর ফলে মানুষের দেহে তাড়াতাড়ি পচন ধরে না।
আর এই কথা আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেড় হাজার বছর আগেই বলে গেছেন যে তোমরা মৃত্যু ব্যাক্তিকে বরই পাতা দিয়ে গোসল দিও। আর সেই জন্য আমাদের সকল মুসলিম জাতির উচিত হালকা গরম পানি করে সেই পানিতে বরই পাতা মিশিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া। এতে করে যেমন মৃত ব্যক্তির শরীর থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তেমনি খুব তাড়াতাড়ি পচন ধরবে না। আর যার ফলে আমাদের মুসলিমদের হাদিসের উপর আমল করা ও হয়ে যাবে। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করে।
বরই পাতার অপকারিতা
আমরা উপরে বরই পাতা সম্পর্কে অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছি সেখানে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন বড়ই পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন উঠেছে বরই পাতার যে এতগুলো উপকারিতা রয়েছে এর অপকারিতা কেমন রয়েছে। বরই পাতাতে কি কি ধরনের অপকারিতা রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত। সব জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি সব জিনিসের রয়েছে কিছু না কিছু অপকারিতা।
ঠিক তেমনি বড়ই পাতার যে রকম অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি বড়ই পাতার অপকারিতাও রয়েছে। তবে অন্যান্য সকল জিনিসের তুলনায় বরই পাতার উপকারিতা অনেক বেশি এবং অপকারিতা খুবই কম। আমরা উপরের বিষয়গুলোতে আপনাদের দেখিয়েছি বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা হয়তো বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বরই পাতা এর অপকারিতার দিকটা খুবই কম বলতে গেলে বড় পাতায় এর কোন অপকারিতা নেই। তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আপনারা যখন যে কোন কারনে বরই পাতা ব্যবহার করবেন তখন সেই পাতাগুলোকে আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। তারপরে আপনারা সেই পাতাগুলোকে আপনাদের ফেসে বা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা যদি সেই পাতাগুলোকে পরিষ্কার না করে মুখে বা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে নানা ধরনের রোগের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ পাতাগুলোতে অনেক প্রকার জীবাণু থাকে। আর যদি আপনারা সেগুলো না ধুয়ে ব্যাবহার করেন তাহলে সেগুলো আপনাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি করবে। তাই আপনারা সকলে বরই পাতা ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সাবধানে ব্যবহার করবেন।
বরই খেলে কি কি হয়?
বরই হচ্ছে একটি অত্যন্ত পুষ্টি গুণাগুন সমৃদ্ধ ফল। এই বরই ফলে রয়েছে অনেক রকমের উপকারিতা। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম বরই এর মধ্যে রয়েছে ১০ গ্রাম আঁশ, ২০ গ্রাম শর্করা, ৭৯ গ্রাম ক্যালরি ও ১ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও বরই এর মধ্যে আরো রয়েছে পটাশিয়াম ৫ শতাংশ এবং সঙ্গে আরও রয়েছে ৭৭ শতাংশ ভিটামিন সি। সুতরাং বরই ফলের মধ্যে রয়েছে অনেক রকমের উপকারিতা নিম্নে বরই এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
- বরই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে কারন বরই এ রয়েছে অত্যন্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও বরই প্রতিরোধ করতে পারে সর্দি-কাশি, জ্বর, ঠান্ডা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মৌসুমী রোগ।
- বরই খাওয়ার ফলে দূর হয় বিভিন্ন ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ। এছাড়াও যকৃতের সমস্যা সমাধানে বরই ফলের কোন বিকল্প নেই।
- বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ দূর করতে বরই সহায়তা করে। এছাড়াও অবসাদ দূর হয় দিনে কয়েকটি বরই খেলে।
- যে সব রোগীদের রয়েছে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা তাদের জন্য টক বরই অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও বরই খেলে শরীরের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- বরই ত্বককে টান টান রাখে ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও বরই রোদ করতে পারে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে।
- ধারণা পাওয়া যায় বরই লড়াই করতে পারে ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কারণ বরই এ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়াও মুখে রুচি হজম শক্তি ইত্যাদি বাড়াতে বরই খাওয়া যেতে পারে।
- বরই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে কারন বরই এ রয়েছে অত্যন্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও বরই প্রতিরোধ করতে পারে সর্দি-কাশি, জ্বর, ঠান্ডা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মৌসুমী রোগ।
- বরই খেলে জিহ্বাই ঘা, ঠোঁটের বিভিন্ন রোগ যেমন: ঠোঁটে ঘা বা ঠোঁটের চামড়া উঠে যায় ইত্যাদি রোগ সমুহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন বরই খাওয়া কি ভালো?
বরই খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ইত্যাদি দূর হয় যার কারণে প্রতিদিন বরই খাওয়া খারাপ কিছু না।বরই হচ্ছে শীতকালে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এই বরই ফল খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। বাংলাদেশের সাধারণত সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে বরই গাছে ফুল ধরে আর সেই বরই ফল খাওয়ার উপযোগী হয় শীতকালে।
এই বরই ফল কাঁচা কিংবা পাকা সবরকমই খাওয়া যায়। এই বরই ফল সংরক্ষণ করে সারা বছর জুড়ে খাওয়া যায়। এই বরই ফলকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা যায় যেমন রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু আচার বানিয়ে সারা বছর ধরে সংরক্ষণ করে এই বরই ফল খাওয়া যায়। যে সকল বরই কে রোদে শুকানো হয় সে গুলোকে বলে টোপা বরই।
সংরক্ষণ করা এই টোপা বরই দিয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে বানানো হয় বিভিন্ন অম্বল মুখের স্বাদ বৃদ্ধিতে যা অত্যন্ত ভূমিকা রাখে। সুতরাং সারা বছর যেহেতু বরই সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায় আর এই বরই খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাই প্রতিদিন বরই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত পরিমাণে ভালো।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুরা। আমরা যথেষ্ট ভাবে চেষ্টা করেছি সঠিক তথ্য দিয়ে বরই পাতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা, অপকারিতা ইত্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আর আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
যেন তারাও পড়ে উপকৃত হয়। আর আমার পোস্টগুলো যদি ভালো লেগে থাকে, যদি মনে হয় আমার আর্টিকেল পড়ে কোন উপকার পেয়েছেন, তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট টা ভিজিট করবেন।
জাস্টিফাই ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ দেওয়া হয়।
comment url