পড়তে বসলে মাথা ব্যথা করে কেন? মাথা ব্যথা নিয়ে বিস্তারিত
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুরা। বর্তমানে আমাদের এই তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যার কারণ হচ্ছে মাথা ব্যথা। আমরা অনেকেই জানিনা কি কারনে আমাদের এত মাথা ব্যথা করে। কিভাবে আমরা এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি ইত্যাদি সম্পর্কেও আমরা তেমন কিছু জানি না। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, বেশি পড়লে কি মাথা ব্যথা করে? চোখে পাওয়ার বাড়লে কি মাথা ব্যথা করে?
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আপনারা যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ে দেখুন। আশা করছি এ সকল বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে মাথা ব্যথা করে না এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে। আমরা অনেকেই আছি যারা পড়তে বসলে মাথা ব্যথা করে। আবার অনেকেই আছি সারাক্ষণ বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে থাকি যার ফলেও আমাদের মাথা ব্যথা করে। কি কারনে আমাদের মাথা ব্যথা করে।
মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় কি। বেশি পড়লে কি মাথা ব্যথা করে। চোখের পাওয়ার বাড়লে কি মাথা ব্যথা করে। অর্থাৎ আজকের আর্টিকেলে মাথা ব্যথা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পড়লে কি মাথা ব্যথা বাড়ে?
আমরা সকলেই পড়াশোনা করি। তবে আমরা অনেকেই আছি যারা একটানা অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করি। আমাদের দেশে অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা একটানা চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পড়ে থাকে। আর যার ফলে তাদের মাথায় বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ হয়। আর সেই সব চাপ প্রয়োগের ফলে তাদের সৃষ্টি হয় তীব্র মাথাব্যথা। আমাদের অনেকের মনের প্রশ্ন রয়েছে, পড়লে কি মাথা ব্যথা করে? চলুন আজকে বিস্তারিত জেনে যাওয়া যাক পড়লে কি মাথা ব্যথা করে? বেশি পড়লে কি মাথা ব্যথা বাড়ে? কিভাবে মাথা ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা নিয়ে নিলে আলোচনা করা হলো
আমরা অনেকেই আছি একটানা বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং একটানা অনেক সময় ধরে পড়ে থাকি। আপনি যখন আপনার বউয়ের দিকে এক টানা অনেক সময় ধরে তাকিয়ে থাকবেন এবং সেগুলো যখন পড়বেন। তখন আপনার মাথায় বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট পড়বে। যখন আপনি অতিরিক্ত বেশি পড়বেন তখন সেটা আপনার ব্রেনে ধরতে পারবেনা। এবং আপনার তৈরি হবে মানসিক উদ্বেগ। আর এইসব মানসিক উদ্বেগের কারণে তৈরি হতে পারে আপনার মাথাব্যথা।
তাছাড়া সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমরা যখন একটানা বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং পরি তখন আমাদের চোখে অসম্ভব পরিবারের চাপ পড়ে। এমনকি আমাদের দুর্বল দুর্বল লাগে। তাই আমাদের অধ্যয়ন করার সময় অবশ্যই এসব ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে যে আমি কতক্ষণ পড়ছি কিভাবে পড়ছি। আমাদের অধ্যয়ন করার সময় সময় নিয়ে পড়তে হবে। যেন আমাদের ব্রেনে চোখে খুব বেশি চাপ না পড়ে। এতে করে কমবে আমাদের মাথা ব্যথা। তাই এ সকল বিষয় খেয়াল রেখে আমাদের পড়তে হবে। একটানা বেশিক্ষণ পড়া যাবে না।
আমাদের যদি পড়াশোনা করার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা করে তাহলে অবশ্যই আমাদের কোনো ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে আপনার মাথা ব্যথা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি এ সকল বিষয়গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে। কারণ একটা না অনেক সময় ধরে পড়লে আমাদের ব্রেনে ইফেক্ট করে এবং চোখে চাপ পড়ে যার কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলো আমাদের মেনে পড়ালেখা করতে হবে। এতে করে আমাদের মাথা ব্যথার কোন সমস্যা হবে না
চোখের পাওয়ার বাড়লে কি মাথা ব্যথা হয়?
মাথা ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে স্নায়ু বা নিউরোলজিক্যাল সাথে সম্পর্কিত। তবে মাথা ব্যাথা হতে পারে নিউরোলজিক্যাল কারণ ছাড়াও আরো অনেক কারণে। তবে সেই মাথাব্যথা করার পরিমাণ হবে খুবই কম। মাথা ব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন চোখ, দাঁত ইত্যাদি এছাড়াও মুখের সমস্যার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যথা হতে পারে চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণে। তবে অনেক বেশি পরিমাণে চাপ যদি চোখের উপর পড়ে তাহলে প্রচণ্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
চোখকে একটানা ব্যবহার করলেও অত্যন্ত পরিমাণে মাথাব্যথা হতে পারে। এখনকার এই ডিজিটাল যুগে রয়েছে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন মোবাইল কম্পিউটার ইত্যাদি। এসব ডিভাইসের দিকে সর্বক্ষণ থাকিয়ে থাকলে হতে পারে চোখের সমস্যা আর চোখের সমস্যা থেকে হয় মাথা ব্যথা। এক টানা যে কোন কাজ করলে হতে পারে মাথা ব্যথা। যেমন একটানা বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে মাথা ব্যথা তেমনি একটানা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকলেও হবে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা।এমনকি কোন একটা কাজ অনেকক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে করলে হতে পারে মাথা ব্যথা।
এগুলোর পাশাপাশি চোখে চাপের আরো অনেক কারণ আছে যার ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে। যেমন চোখে ক্লান্তি চোখ ব্যথা করার চোখ দিয়ে পানি পড়া দীর্ঘক্ষণ একটা জিনিসের উপর তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি চোখে চাঁদ পড়তে পারে আর যার ফলে হতে পারে তীব্র মাথাব্যথা। এছাড়াও চোখে ইনফেকশন হলে কিংবা একটানা গাড়ি চালালে বা দাবা খেললে চোখের উপর চাপ পড়বে আর এতে করে হবে মাথা ব্যথা। সুতরাং আমাদের চোখে খুব একটা চাপ দেওয়া যাবে না। কারণ আমরা চোখে যত বেশি চাপ প্রয়োগ করবো আমাদের তত বেশি মাথাব্যথা করবে। তাই উপরের বিষয়গুলো ঠিকমতো মেনে চললে মাথা ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও সমাধান হবে।
ঘুম থেকে উঠে মাথা ব্যথা করার কারণ
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মাথা ব্যথা অনুভব করে না এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে। আমরা সকলে রাত্রি বেলা ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর সকালে আমরা ঘুম থেকে যখন উঠি তখন আমাদের অনেকের মাথা ব্যাথা করে। আর মাথাব্যথা নিয়ে যদি সকালটা আমাদের শুরু হয় তাহলে আমাদের কোন কাজে মন বসে না। কোন কাজকর্ম আমরা ঠিকঠাকভাবে করতে পারি না। আর এই মাথা ব্যাথার কারণে কমে যায় আমাদের কাজের গতি। দুর্বল হয়ে পড়ে আমাদের শরীর।
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা মাথা ব্যথা অনেক ধরনের রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাইপনিক মাথা ব্যথা, টেনশন মাথা ব্যথা, ক্লাস্টার মাথাব্যথা, এছাড়াও রয়েছে প্যারোক্সিমাল হেমিক্রেনিয়ার মতো মাথা ব্যথা আমাদের হয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কেন আমাদের মাথা ব্যথা করে? এর কিছু কারণ আমরা নিচে তুলে ধরলাম
ঘুম না হওয়াঃ আমরা সবাই রাত্রে ঘুম যাই এবং সকালে ঘুম থেকে উঠি। এর মধ্যে আমাদের যদি ঘুম কম হয় তাহলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মাথা ব্যথা করে। কোন কাজে মন বসে না মেজাজ খিটখেটে হয়ে থাকে। আর সাথে সাথে হয় মাথা ব্যথা ও। আর এসব সমস্যা হয় মূলত রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে। যদি আপনি মনে করেন আপনি প্রতিনিয়ত অনিদ্রার মতো সমস্যাই ভুগছেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দুশ্চিন্তাঃ আমরা অনেকে আছি অত্যন্ত পরিমানে দুশ্চিন্তা করি। দুশ্চিন্তা ও হতাশা আমাদের মাইগ্রেন হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। আপনি যদি মনে করেন আপনি বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিংবা প্রচুর পরিমাণে দুশচিন্তা করছেন। তাহলে দ্রুত আপনি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যাতে করে আপনাকে মাথা ব্যাথা নিয়ে ঘুম থেকে জাগতে না হয়। তাই এসব বিভিন্ন মানসিক চিন্তা হতাশা ও মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে। তাই আমাদের দুশ্চিন্তা করা যাবে না ঠিকমতো ঘুমাতে হবে তাহলে বিভিন্ন হতাশা উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
ব্রুক্সিজমঃ ঘুমের একটি অবস্থান নাম হচ্ছে ব্রুক্সিজম। যেখানে আপনি আপনার দাঁত ঘষতে থাকেন ঘুমের মাঝে। এতে করে চোয়ালের বিভিন্ন জয়েন থেকে আপনার ব্যথা উৎপন্ন হয়। আর যার কারণে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার মাথা ব্যথা করে। সুতরাং এই ব্রুক্সিজম থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এতে করে মাথা ব্যথা নিয়ে আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে না। সারাদিন আপনি আপনার কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।
পানির অভাবঃ মাঝে মাঝে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াই পানির অভাব। আমরা সকলেই রাত্রিবেলা ঘুমাতে চলে যায়। অথচ আমরা ঘুমানোর আগে কেউ পরিমাণ মতো পানি পান করি না। আর আপনি যদি পরিমাণমতো পানি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এতে করে ঘুমের মধ্যে আপনার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ডিহাইড্রেশন।আর যার ফলে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় হতে পারে আপনার তীব্র মাথাব্যথা। সুতরাং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে ঘুমাতে যাবেন। এতে করে থাকবে না ডিহাইড্রেশনের ভয়। আর আপনাকেও সকালে মাথা ব্যথা নিয়ে উঠতে হবে না ঘুম থেকে।
ঘুম বেশি হওয়াঃ ঘুম কম হওয়ার কারণে যেমন আমাদের মাথা ব্যথা করে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ঘুম হলেও আমাদের মাথা ব্যথা করে। আমরা সবাই যখন রাত্রেবেলা ঘুমাতে চাই এবং সকালে ঘুম থেকে উঠি তখন যদি আমরা সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠি এবং আমাদের ঘুমের পরিমাণ যদি অত্যন্ত পরিমাণে বেশি হয় তাহলেও আমাদের মাথা ব্যথা করে। তাই আমাদের দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা যাবে না। কারণ দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা করে। তাই আমাদের অতিরিক্ত ঘুম থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে ঘুম থেকে উঠে আপনাকে মাথা ব্যথার সম্মুখীন হতে হবে না।
ঘুম থেকে উঠে কি কারণে আমাদের মাথা ব্যথা করে অনেকগুলো পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এ সমস্ত কথাগুলো আপনারা ঠিকঠাক মতো মেনে চললে আপনাদের ও ঘুম থেকে উঠে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যাথা সহ্য করতে হবে না। এতে করে আপনার কাজের মেধা বাড়বে। যে কোন কাজ করব শান্তিতে করতে পারবেন বিরক্তবোধ হবে না। তাই আমাদের সকলকে নিয়ম মেনে ঘুমাতে হবে এবং উপরোক্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
পড়ালেখার সময় মাথা ব্যথা করে কেন?
পড়ালেখার সময় আমাদের অনেক কারণেই মাথা ব্যথা করতে পারে। সেই কারণগুলোই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আমরা সবাই প্রায় কখনো না কখনো পড়তে বসি। এবং আমাদের অতিরিক্ত পড়াশোনা করার ফলে তীব্র মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয়। যার কারণে আমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারিনা। এমনকি ভালোভাবে পড়া মনে রাখতে পারি না। কি কারনে আমাদের পড়ালেখার সময় মাথাব্যথা করে এ বিষয়ে নিজে আলোচনা করা হলো। আমরা অনেকেই আছি বিভিন্ন ধরনের গল্পের পড়ে থাকি।
এছাড়াও আমরা যারা স্টুডেন্ট আছি তারা আমাদের কলেজের স্কুলের বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে থাকি। এমনকি মাঝে মাঝে আমাদের এত পড়াশোনার চাপ হয় আমরা একটানা অনেকক্ষণ যাবৎ পড়ে থাকি। আর একটা না অনেকক্ষণ যাবৎ পড়ার ফলে আমাদের মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয়। আমরা যখন একটানা পড়ি তখন আমরা বইয়ের দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকি।
আর আমাদের চোখের ক্ষতি হয় আর চোখের ক্ষতি হওয়ার কারণে আমাদের মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয়। যার কারণে আমরা পড়াশোনা করতে পারি না ঠিকমত। আর এইসব কারণে আমাদের পড়াশুনা করতে গেলে মাথা ব্যথা করে। তাই আমাদের এসব নিয়ম মেনে চলে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে হবে বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে।
মাথা ব্যথা করলে করণীয়
আমরা অনেকেই আছি একটা কাজ একটানা করতে গেলে আমাদের অনেক সময় মাথা ব্যথা করে। এই মাথাব্যথা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে অবহেলা করবেন না। ঘনঘন এমন মাথা ঘুরলে অবহেলা না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খুঁজে বের করা জরুরী যে কি রোগ হয়েছে আপনার। মাথা ব্যথা করলে একরকম রোগ হয় না। এটি ভিন্ন ভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আপনাদের যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা করে তাহলে কি করবেন সে বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
আমাদের অনেকেরই আছে মাথা নাড়লেই মাথা ঘুরে। অনেক সময় ঠিকঠাক থাকে আবার কিছুক্ষণ পর পর তীব্র মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। আর চিকিৎসকেরা বলেন এই রোগের নাম হচ্ছে পারঅক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টরিগো। আজ যাদের এ ধরনের রোগ হয় মাথা ব্যথা করে। পড়তে বসলে মাথা ব্যথা করে। তাদের উচিত এ রোগকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। সুতরাং এই কাজগুলো করলে মাথা ব্যথার মত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
মাথাব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তির জন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে পারি। আমরা উপরে আপনাদের কে জানিয়েছি কি কারনে আমাদের মাথা ব্যথা করে পড়তে বসলে আমাদের কেন মাথা ব্যথা করে। এসব বিষয়ে আপনারা এখন নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন। আমরা যখন এক টানা অনেক সময় ধরে পড়ি তখন আমাদের তীব্র মাথাব্যথা করে। আপনারা কিভাবে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এর জন্য কিছু পদক্ষেপ আপনাদের বলে দিব।
আমাদের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হচ্ছে রাত্রে ঠিকমত ঘুম না হওয়া। তাই আমাদের মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে ঠিকমত ঘুমাতে হবে। আমরা যখন একটানা অনেকক্ষণ পড়ি তখন আমাদের মাথা ব্যথা করে। তাই আমাদের একটানা অনেকক্ষণ না পড়ে কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিয়ে পড়তে হবে। অনেক সময় আমাদের ঘুম বেশি হয় যার ফলেও আমাদের মাথা ব্যথা করে।
তাই আমাদের ঠিকমতো ঘুমাতে হবে এবং অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না তাহলেও মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যদি আপনার বড় ধরনের মাথাব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আরিফা উপায় গুলো মেনে চললে আপনারা মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক ভাই বন্ধুরা। আমরা যথেষ্ট ভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সামনে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এরপরও নিজের ব্যক্তিগত মতামত থেকে বলছি, আপনাদের যদি খুব বেশি মাথা ব্যথা হয় তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
জাস্টিফাই ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ দেওয়া হয়।
comment url