ক্রিকেট খেলা কে আবিষ্কার করেন? ক্রিকেটের ইতিহাস বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা। আপনারা যদি ক্রিকেট প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের মনে আগ্রহ জাগে ক্রিকেট খেলা কিভাবে আবিষ্কার হয়েছে তা জানার জন্য। আবার অনেকেই আছেন জানেন ক্রিকেট খেলা কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল। তবে অধিকাংশ মানুষেরই ক্রিকেটের ইতিহাস সম্পর্কে নেই কোন ধারনা।

ক্রিকেট খেলা কোন দেশে আবিষ্কার হয়
আপনারও যদি ক্রিকেটের ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। চলুন জেনে নিই ক্রিকেটের ইতিহাস ও ক্রিকেটের আবিষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা

সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি বিনোদনমূলক খেলা হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। দিন দিন এই ক্রিকেট খেলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। ক্রিকেট খেলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। আমরা অনেকেই আছি ক্রিকেট খেলা দেখি বা নিজেরাও ক্রিকেট খেলা খেলে থাকি। এই খেলা আমাদের ছোট, বড়, বৃদ্ধ, সবারই অনেক পছন্দের একটি খেলা।
আর তাই যখন খেলার মাঠে কোন খেলা হয় তখন সেখানে শুধু খেলোয়াড়রা খেলে না। খেলোয়ারদের সমর্থন জোগাতে মাঠে থাকে হাজার হাজার দর্শক। এতে যারা ক্রিকেট খেলে বাড়ে তাদের মনবল।আমরা প্রায় সকলেই ক্রিকেট খেলার বিভিন্ন নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানি। তবে আমরা ক্রিকেট খেলার ইতিহাস সম্পর্কে কেউ তেমন জানি না।

ক্রিকেট খেলা কোন দেশে আবিষ্কার হয়েছিল। ক্রিকেট খেলার আবিষ্কারক কে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট কত সালে শুরু হয় কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিভাবে শুরু হয় এগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ক্রিকেট খেলার ইতিহাস সম্পর্কে।

ক্রিকেট খেলা কোন দেশে আবিষ্কার হয়

ক্রিকেট হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেট খেলা দেখেনা বা ক্রিকেট খেলে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। তবে অনেকেই জানেন লাইভ ক্রিকেট খেলা কিভাবে আবিষ্কার হয় এবং কোন দেশে আবিষ্কার হয়। এই পোস্টে আপনাদের জানাবো ক্রিকেট খেলা কোন দেশে আবিষ্কার হয়। ক্রিকেট খেলা আবিষ্কারের ইতিহাস বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হল। ক্রিকেট হচ্ছে একটি জনপ্রিয় খেলা।

ইংল্যান্ডে আবিষ্কার হয় এই ক্রিকেট খেলার। যতদূর আমরা জানতে পেরেছি ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ক্রিকেট খেলার শুরুর স্পষ্ট কোন তারিখ কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হয় ক্রিকেট খেলার শুরু হয়েছিল সেদিন ছিল সোমবার। ধারণা করা হয় ১৫৯৭ সালের ১৭ ই জানুয়ারি ক্রিকেট খেলার প্রথম ম্যাচ আয়োজন হয়েছিল। আর সেই খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে।

আর সেই খেলাতে অংশ নিয়েছিল ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট খেলা নাকি শুরু হয়েছিল ফ্রান্সে ১৩ শতাব্দীর দিকে। তবে এই কথার কোন গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। আর তাই ফ্রান্সকেউ ক্রিকেটের আবিষ্কার রাষ্ট্র বলা হয় না। তাই ইংল্যান্ডকে ক্রিকেট খেলার আবিষ্কারক বলা হয়। আর এভাবেই ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলার আবিষ্কার হয়।

ক্রিকেট খেলা কে আবিষ্কার করেন

আমরা সকলেই ক্রিকেট খেলা দেখি এবং নিজেরাও ক্রিকেট খেলি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা ক্রিকেট খেলা কে আবিষ্কার করেছেন। উপরে আপনাদের আমরা জানিয়েছি ক্রিকেট খেলা কোন দেশে আবিষ্কার হয়েছিল এবং কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল। এখন আপনাদের জানাবো ক্রিকেট খেলা কে আবিষ্কার করেন।ক্রিকেট খেলার জনক বলা হয় উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস কে।

ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলা শুরু হয় আনুমানিক ১৫৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ই জানুয়ারি। আর সেই খেলাতে অংশ নাই ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্ররা। আর সেই খেলার উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস ক্রিকেট খেলার ধারণা দেন এবং তিনি ক্রিকেট খেলা আবিষ্কার করেন। আর তার আবিষ্কারের ফলেই সেদিন ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। আর তাই ক্রিকেট খেলার জনক বলা হয় উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস কে।

ক্রিকেট এর পূর্ব নাম কি ছিল

ক্রিকেট খেলা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি। আমরা অনেকেই আছি যারা জানি ক্রিকেট খেলার কোন দেশে আবিষ্কার হয়েছিল। আবার অনেকেই জানি ক্রিকেট খেলা কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল। ক্রিকেট খেলার জনক কে। এরকম বিষয়গুলো আমরা অনেকেই জানি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা ক্রিকেটের পূর্ব নাম কি ছিল। ক্রিকেট খেলাকে আমরা সবাই ক্রিকেট নামে চিনি। তবে আমরা কেউ জানিনা ক্রিকেটের একটা পূর্ব নাম ছিল।

বর্তমান বিশ্বের ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে। ফুটবল খেলার পরে সবচাইতে বেশি দর্শক হয় এই ক্রিকেট খেলাতে। আপনারা হয়তো জানেন ক্রিকেট খেলা আবিষ্কার হয়েছিল ইংল্যান্ডে। যতদূর যানা যায় ষোড়শ শতাব্দীতে ক্রিকেট খেলা আবিষ্কার হয়েছিল। আর যখন ক্রিকেট খেলা আবিষ্কার হয় তখন এর নাম ক্রিকেট ছিল না। 

ষোড়শ শতাব্দীর দিকে যখন ক্রিকেট খেলা আবিষ্কার হয় তখন এই ক্রিকেট খেলার নাম ছিল ক্রেকেট। তখন এই ক্রিকেট খেলা কে সবাই ক্রেকেট নামেই চিনতো। তবে সময়ের সাথে সাথে নাম পরিবর্তন হয়ে এই জনপ্রিয় খেলাটির নাম হয়েছে ক্রিকেট। যা এখন বিশ্বের একটি অন্যতম সেরা খেলা।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট কত সালে শুরু হয়

ইংল্যান্ডের ক্রিকেট খেলা শুরু হয় ষোড়শ শতাব্দীর দিকে। তবে এরপরে অনেক সময় খেলা হয়েছে তবে তখনো শুরু হয়নি বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা। কিভাবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয়েছিল, কত সালে বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয়েছিল তা আমরা অনেকেই জানিনা। একদিনের ওডিআই ক্রিকেট শুরু হয় ১৯৭১ সালে। এর প্রায় চার বছর পরে অনুষ্ঠিত হয় ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা। অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়।

আর সেই বার ওডিআই বিশ্বকাপের আয়োজন করে ক্রিকেটের আবিষ্কারক দেশ ইংল্যান্ড। আর সেইবার প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপে অংশ নেই মোট আটটি দল। আর প্রথম ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হয় ৭ই জুন এবং তা চলে ২১ এ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রায় ১৫ দিন চলে প্রথম বিশ্বকাপ খেলা। আর প্রথম বিশ্বকাপে যে আটটি দল অংশ নেই সেগুলো হচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পূর্ব আফ্রিকার মতো দলগুলো।

আর সেই এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো প্রথম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর আবারও বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয় চার বছর পর ১৯৭৯ সালে আর সেইবার ও দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এরপর ধারাবাহিকভাবে চার বছর পর পর চলতে থাকে ক্রিকেটার এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। সর্বশেষ ক্রিকেটের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন হয় ভারতে ২০২৩ সালে। যেখানে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আবিষ্কার করেন কে

একটা সময় ক্রিকেট খেলা অনেক জনপ্রিয় থাকলেও এই শতাব্দীর শুরুর দিকে ক্রিকেট খেলা হারাতে থাকে নিজের রং। দিনে দিনে কমতে থাকে দর্শকদের চাহিদা। এতে করে স্পন্সর এর সমস্যায় পড়তো ক্রিকেট দলগুলো। আর এতে চিন্তিত হয়ে পড়ে ক্রিকেট বোদ্ধারা। আর তাই ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ ফিরাতে চালু করা হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এখন আপনাদের জানাবো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কিভাবে শুরু হয় এবং কে আবিষ্কার করেন

যখন দিনে দিনে ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের চাহিদা কমতে থাকে তখন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন কিভাবে ক্রিকেট কে আগের আমেজে ফেরানো যায়। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ই সি বি একটি নতুন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। আর সেই খেলাগুলোর নাম দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কে স্বীকৃত ক্রিকেট হিসেবে মর্যাদা দেন। যা বর্তমানে টি টুয়েন্টি নামে পরিচিত।

আর নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সবচাইতে সেরা। বর্তমানে ওডিআই ক্রিকেটের মত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সারা বিশ্বের ফ্রাঞ্চাইজি গুলো ক্রিকেটের আয়োজন করে থাকে যা টি টোয়েন্টি ক্রিকেট নামে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশে নিজেদের ঘরোয়াভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আয়োজন করে থাকে।

যেমন বাংলাদেশে হয় বিপিএল, ভারতে হয় আইপিএল, পাকিস্তানে হয় পিএসএল, এভাবেই সারাবিশ্বে চলতে থাকে একের পর এক ফ্রাঞ্চাইজি লীগ। আর এই লীগগুলো হয় টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। আর যার দর্শক চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর তাই ক্রিকেট বিশ্বে টি-টোয়েন্টি খেলা একটি দর্শকময় খেলায় পরিনত হয়েছে। আর এই টি-টোয়েন্টির ফলে ক্রিকেট ফিরে পেয়েছে তার পুরনো আমেজ।

শেষকথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ক্রিকেট আমার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। যেহেতু আমি একজন ক্রিকেট প্রেমী সেহেতু ক্রিকেট নিয়ে যেকোনো বিষয়ে জানতে চাইলে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।

আমি আপনাদের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে আর্টিকেল লিখবো। আর আমার পোস্টগুলো যদি ভালো লাগে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করে দিবেন। সাথে সাথে আমার ওয়েবসাইট টা নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জাস্টিফাই ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ দেওয়া হয়।

comment url