মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত
মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা কিংবা মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা ইত্যাদি বিষয় গুলোর সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া জরুরী। কেননা বর্তমান সময়ে মোবাইল হচ্ছে সবচাইতে ব্যবহৃত একটি ডিভাইস। মোবাইল ছাড়া বর্তমান যুগের মানুষ প্রায় অচল। আপনি যেকোনো কাজ করবেন আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইলের। তবে মোবাইলে যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি মোবাইলের অনেক খারাপ দিক রয়েছে। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে আলোচনা করব মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা এছাড়া মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
যেন এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারাও আপনাদের ছেলে-মেয়েদের সচেতন করতে পারেন। কেননা মোবাইল আমাদের জন্য যেমন আশীর্বাদ তেমনি অনেক ক্ষতিকর। তাই আশা করছি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ভূমিকা
বর্তমান যুগের এই আধুনিক সভ্যতায় এক অনন্য বিপ্লব ঘটিয়েছে মোবাইল ফোন। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। এক কথায় বলাটাই মোবাইল ফোন ছাড়া মানুষ এখন প্রায় অচল। এই মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। মোবাইল ফোন আমাদের আধুনিক জীবনকে অত্যন্ত সহজ ময় করে তুলেছে।
বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় এছাড়াও বৃদ্ধরাও মোবাইল ব্যবহার করে। কেননা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা যেকোনো কাজ যে কোন সময় খুব সহজেই করে ফেলতে পারি। মোবাইলের এগুলো যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি মোবাইল ব্যবহারে রয়েছে অনেক অপকারিতা ও। মোবাইল যেমন আমাদের যুব সমাজকে এক অনন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারে তেমনি আবার ধ্বংস করে দিতে পারে।
কেননা মোবাইলের অনেক খারাপ দিক এবং ভালো দিক রয়েছে। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব মোবাইল নিয়ে। মোবাইল আমাদের জন্য ঠিক কতটুকু উপকারী আবার কতটা অপকারী ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেল। তাহলে বন্ধুরা চলুন এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।
মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ব্যবহার একটি রুটিনে পরিণত হয়েছে। মোবাইল ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলাফেরা করতে পারি ন। কেননা এই মোবাইল ফোনের রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।
আজকে আমরা আলোচনা করব মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা গুলো নিয়ে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে মোবাইল ব্যবহার করেছি সেগুলোর উপকারিতা গুলো আসলে কি চলুন এ বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- মোবাইল ফোন থাকার কারণে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারি এবং কথা বলতে পারি।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমরা এক দেশ থেকে যেকোনো দেশে ভিডিও কল কিংবা অডিও কল ইত্যাদির মাধ্যমে কথা বলতে পারি এবং যেকোনো ব্যক্তিকে দেখতে পারিনি।
- মোবাইল ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি এবং তথ্য আদান প্রদান করতে পারেন।
- মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সিনেমা, নাটক ইত্যাদি খুব সহজেই দেখতে পারি।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভিডিওগ্রাফি ফটোগ্রাফি খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারি।
- বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা দেশের যেকোনো টিভি চ্যানেল খুব সহজেই দেখতে পারি। আর এই সমস্ত চ্যানেল আমরা মোবাইলের মাধ্যমেই দেখতে পারি।
- মোবাইলের মাধ্যমে আমরা রেডিও ব্যবহার করতে পারি। পাশাপাশির মোবাইলে যে রেডিও পাওয়া যায় সেটা থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান শুনতে পায়।
- মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এছাড়াও আরো অনেক রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় tiktok অ্যাপস তো রয়েছে। এগুলো আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারি।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অফলাইন গেম খেলতে পারি। আর এই সমস্ত গেম খেলে আমরা আমাদের সময় কাটাতে পারি এছাড়াও গেম খেলে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারি। এক্ষেত্রেও মোবাইলের জুরি মেলা ভার।
- শিক্ষার ক্ষেত্রে মোবাইল আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয়ে উঠেছে। কেননা বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিক্ষাব্যবস্থা সবকিছুই প্রায় অনলাইনে। আর তাই শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মোবাইল ব্যবহার আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।
- মোবাইল ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ক্লাসের বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করে খুব সহজেই বই পড়তে পারি। অর্থাৎ আমাদের যদি পাঠ্যপুস্তকের বই ছিড়ে যায় বা হারিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা মোবাইলে পিডিএফ ডাউনলোড করে বই খুব সহজেই পড়তে পারি।
- মোবাইল ব্যবহার করে আমরা শিক্ষার কাজে বিভিন্ন ধরনের আবেদন করতে পারে। যেমন বর্তমান সময়ে কলেজ ভর্তি আবেদন ইত্যাদি গুলো কিন্তু আমরা চাইলে মোবাইলে বসে করতে পারি। আর এগুলো আমাদের সহজ করে দিয়েছে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন।
- মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি চাকরির আবেদন করে থাকে। যেহেতু এটা ডিজিটাল যুগ সে ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে আমরা ঘরে বসে স্বল্প সময়ে বিভিন্ন চাকরির আবেদন করে থাকি। এক্ষেত্রে মোবাইল আমাদের অত্যন্ত কাজে লাগে।
- মোবাইল ব্যবহার করে আমরা বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারি। মোবাইল ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে। আরো অনেকেই আছে যারা মোবাইল ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং বা আরো যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো করে টাকা ইনকাম করে। সুতরাং টাকা ইনকাম করার জন্য মোবাইল আপনার কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিভাইস।
- মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা দিন ও রাতের তাপমাত্রা ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব সহজেই মোবাইলে দেখে নিতে পারি। অর্থাৎ দিনে তাপমাত্রা কত থাকবে কিংবা রাতে তাপমাত্রা কত হবে কিংবা আগামীকাল কি রকম আবহাওয়া থাকবে ইত্যাদি বিষয়গুলো আমরা খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে জেনে নিতে পারি।
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা এতক্ষণে আপনাদের সামনে আলোচনা করলাম মোবাইল ব্যবহারের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে। এগুলো যে শুধু মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা এমনটা না বর্তমান সময়ে আপনি যে কাজটাই করেন না কেন মোবাইল আপনার কাছে থাকাই লাগবে।
অর্থাৎ মোবাইল শুধু এই কাজগুলোর না আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সকল কাজের জন্য মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসে পরিণত হয়েছে। আর তাই মোবাইল ছাড়া একপ্রকার মানুষ এখন বর্তমান সময়ে অচল বলা যেতে পারে। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আশা করছি পুরো বিষয়গুলো আপনারা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া মোবাইলের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন।
মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা
আমরা সকলেই জানি মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারী একটা ডিভাইস। আর মোবাইল ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না। কেননা মোবাইল এর মাধ্যমে আমরা সকল কাজ খুব সহজেই করতে পারি। তাই মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তুলেছে।
তবে মোবাইলের যেমন এত উপকারিতা রয়েছে তেমনি মোবাইলের রয়েছে ভয়ংকর কিছু অপকারিতা। আর মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা কিছু ক্ষেত্রে এতটা অপ ভয়ঙ্কর হতে পারে যে আপনাকে নিয়ে যেতে পারে নেশার দুয়ার পর্যন্ত।
তাহলে প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আপনিও যদি মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা গুলো। তাহলে বন্ধুরা চলুন মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতভাবে।
- ঘাড়ে ব্যথা হয়: আমরা বর্তমান সময়ে মোবাইলে সবচাইতে বেশি সময় দিই। আর মোবাইলে সময় দেওয়ার জন্য আমরা অনেক সময় ধরে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি। আর তাই দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য আপনার ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
- চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া: বর্তমান সময়ে আমরা দীর্ঘ সময় মোবাইলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে দিন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক ইউটিউব এছাড়াও রয়েছে tiktok। দীর্ঘ সময়ে এ সকল কিছু দেখার জন্য আমরা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি। আর এর ফলে আমাদের চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে কেননা মোবাইল থেকে এক প্রকার আলো নির্গত হয় যা আমাদের চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে: আমরা দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং বিভিন্ন রকম মিউজিক ভিডিও কিংবা বিনোদনমূলক সিনেমা ইত্যাদি দেখে থাকি। আর দীর্ঘ সময় ধরে এগুলো শোনার জন্য এবং দেখার জন্য আমাদের কানে ক্ষতি হতে পারে। আর এর জন্য আমরা কানে কম শুনতে পারি।
- স্মৃতিশক্তি কমে যায়: দীর্ঘ সময় আমরা মোবাইল ব্যবহার করি। আর আমরা দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার প্রতি এক প্রকার আসক্ত হয়ে পড়েছি। ফোনে আমরা বিভিন্ন রকম জিনিস দেখে থাকি যা আমাদের ব্রেনে আঘাত করতে পারে। আর এর ফলে আমাদের চিন্তা শক্তি কমে যায় মেধা কমে যায়। আর তাই অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করার জন্য কমে যেতে পারে স্মৃতিশক্তি ও।
- ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের ঠিকমতো ঘুম হয় না। আর আমাদের ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার কারণে বিভিন্ন রকমের রোগ তৈরি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা এছাড়াও মোবাইলের আরো অনেক রকমের অপকারিতা রয়েছে। কেননা মোবাইল আমাদের জন্য যেমন আশীর্বাদ তেমনই আবার অভিশাপ। মোবাইল দিয়ে আমাদের যতটা উপকার হচ্ছে তার চাইতে বেশি হচ্ছে অপকার।
তাই আমাদের নিয়ম মেনে মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আশা করছি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে শরীরের অপকারিতা গুলো সম্পর্কে আপনারা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকলের কাছে একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি হচ্ছে মোবাইল ফোন। এমন কোন ব্যক্তি নেই যার কাছে একটি ফোন নেই। কেননা ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। ফোন যে শুধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপকার করে এমনটাও না।
ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি বিভিন্ন ধরনের চাকরির আবেদন করতে পারি। ফোনের মাধ্যমে আমরা অনেক ধরনের কাজ করতে পারি যা আমাদের অনেক উপকার করে। তাই বলতে পারি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা অপরিসীম।
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্লাস করতে পারি ঘরে বসেই। কেননা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আর সে সময় আমরা চাইলে খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারবো।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের বই ডাউনলোড করে পড়তে পারব। কেননা আপনার যদি বই হারিয়ে যায় কিংবা ছিড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে পিডিএফ ডাউনলোড করে যেকোনো বই পড়তে পারবেন খুব সহজেই।
- ছাত্র জীবনে মোবাইল ব্যবহারের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গাইড ডাউনলোড করে পড়া। কেননা আমরা অনেকেই আছি যাদের গাইড কিনারে টাকা নেই। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি একটি ফোন থাকে আপনি চাইলে খুব সহজেই বিভিন্ন গাইড ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন।
- ছাত্র জীবনে ঘরে বসে ইনকাম করতে চাইলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ফোন। কেননা আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ঘরে বসেই ছাত্র জীবন থেকেই একটু একটু করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
- আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেখতে পারি ঘরে বসেই। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা যেমন এসএসসি কিংবা এইচএসসি এছাড়াও ইত্যাদি যত পরীক্ষা হয় সবগুলোর রেজাল্ট আমরা ঘরে বসে দেখতে পারি শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে ছাত্র জীবনে মোবাইল গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস।
- মোবাইল ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখতে পারছে এবং অনুবাদ করতে পারছেন। অর্থাৎ মোবাইলের জন্য বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখা আমাদের জন্য সহজ হচ্ছে কেননা গুগল ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন দেশের ভাষা ট্রান্সলেট করে পড়তে পারি খুব সহজেই।
- ইন্টারনেট কে বলা হয় সমগ্র বিশ্বের তথ্যের ভান্ডার। আর হাতে যদি একটি মোবাইল থাকে সেক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। আর তাই একজন ছাত্রীর কাছে যদি মোবাইল থাকে তাহলে সে অনেক তথ্য জানতে পারে এবং অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। কেননা ছাত্রজীবনে যে কোন কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল ফোনের। সুতরাং বলাই যেতে পারে ছাত্র জীবনের মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আশা করছি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনারা সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে আলোচনা করলাম মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা, মোবাইল ব্যবহারের অপকারিতা এছাড়াও ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা আপনারা অবশ্যই মোবাইল কে ভালো কাজে ব্যবহার করবেন।
কেননা মোবাইলের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আর এই সমস্ত ক্ষতিকর দিক আপনাকে বিভিন্ন ধরনের নেশার দিকেও নিয়ে যেতে পারেন। মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনারা আপনাদের যারা ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে তাদের দিকে খেয়াল রাখবেন।
যেন তারা অতিরিক্ত সময় ধরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল এ ছাড়া আরো অনেক কিছু যেন ব্যবহার না করেন।
জাস্টিফাই ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ দেওয়া হয়।
comment url